Posts

Showing posts from September, 2023

ওয়ালটন কোম্পানির ইতিহাস

Image
ওয়ালটন হচ্ছে বাংলাদেশের একটি বিশ্বমানের ব্র্যান্ড, যা বিভিন্ন ধরনের ইলেক্ট্রনিক, ইলেকট্রিক, অটোমোবাইল, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার ও অন্যান্য পণ্য উৎপাদন ও বিক্রয় করে। এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ করদাতা, সর্বোচ্চ বাজার শেয়ারধারী ও সর্বোচ্চ রোজগার সৃষ্টিকারী কোম্পানির মধ্যে একটি। এটি বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখে। ওয়ালটন কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা হলেন এস এম নজরুল ইসলাম, যিনি একজন উদ্যোক্তা, শিল্পপতি ও সামাজিক কর্মী। তিনি ১৯৭০ সালে ওয়ালটন ইস্পাত শিল্পে প্রবেশ করেন, যা বাংলাদেশের প্রথম ইস্পাত শিল্প ছিল। তারপর ১৯৭৭ সালে তিনি ওয়ালটন গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন, যা একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ছিল। তিনি বাংলাদেশের প্রথম মটরসাইকেল, প্রথম রেফ্রিজারেটর, প্রথম টেলিভিশন, প্রথম এয়ার কন্ডিশনার, প্রথম মোবাইল ফোন ও প্রথম ল্যাপটপ তৈরি করেন। তিনি বাংলাদেশের ইলেক্ট্রনিক শিল্পের উদ্ভাবক হিসেবে পরিচিত। ওয়ালটন কোম্পানির বর্তমান চেয়ারম্যান হলেন এস এম নুরুল আলম রিজভী, যিনি এস এম নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি ওয়ালটন কোম্পানির বিভিন্ন শাখার পরিচালক ও ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করে থাকেন। তিনি ওয়ালটন কোম্পানির পণ্য ও স...

আপেক্স কোম্পানির ইতিহাস

Image
আপেক্স হলো একটি বাংলাদেশী জুতা ও বস্ত্র প্রস্তুতকারী কোম্পানি, যা ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জুতার কোম্পানি এবং বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম জুতার উৎপাদক। এটি পুরুষ, মহিলা ও শিশুদের জন্য বিভিন্ন ধরনের জুতা তৈরি করে এবং বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি করে। আপেক্স কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা হলেন সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী, যিনি একজন উদ্যোক্তা, রাজনীতিবিদ ও সামাজিক কর্মী। তিনি ১৯৭৫ সালে ঢাকার মোহাম্মদপুরে একটি ছোট জুতা কারখানা চালু করেন, যেটির নাম ছিল এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড। তিনি প্রথমে বিদেশী কোম্পানিদের জন্য জুতা উৎপাদন করেন, যেমন ক্লার্কস, হাশপাপি, লাইফস্ট্রাইড, লোটো, নাইকি, রিবক, অ্যাডিডাস ইত্যাদি। পরে তিনি দেশীয় বাজারে জুতা বিক্রি করার জন্য নিজস্ব ব্র্যান্ড গড়ে তোলেন।  এই ব্র্যান্ডগুলো আপেক্স কোম্পানির সবচেয়ে উচ্চমানের ও দামী জুতা তৈরি করে। এই জুতাগুলো বিশ্বের সেরা মানের লেদার, টাইলি, ও অন্যান্য উপাদান দিয়ে তৈরি হয়। এই জুতাগুলো বিশ্বের বিখ্যাত ডিজাইনারদের দ্বারা ডিজাইন করা হয়। এই জুতাগুলো বিশ্বের বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের পছন্দের জুতা হিসেবে পরিচিত। আপেক্স কোম্পানি বাংলা...

বাটা কোম্পানির ইতিহাস

Image
বাটা কোম্পানি হলো একটি বহুজাতিক জুতা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, যার প্রধান কার্যালয় সুইজারল্যান্ডের লুসানে অবস্থিত। এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন টোমাস বাটা, যিনি চেক প্রজাতন্ত্রের য্‌লিন শহরে ১৮৯৪ সালে একটি জুতা কারখানা চালু করেন। টোমাস বাটার পরিবার মুচির পেশায় নিয়োজিত ছিলো এবং তিনি জুতা তৈরির ক্ষেত্রে নতুন নতুন পদ্ধতি ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার ব্যবসার প্রসার করেন। বাটা কোম্পানি প্রথম পাইকারি হারে জুতা উৎপাদন করে এবং তার কর্মীদের জন্য বাসস্থান, সিনেমাহল, এবং অন্যান্য সুবিধা সরবরাহ করে। টোমাস বাটাকে এই কারণে "পূর্ব ইউরোপের হেনরি ফোর্ড" বলে অভিহিত করা হয়। ১৯৩২ সালে টোমাস বাটা একটি বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান এবং তার সৎভাই জ্যান আন্টোনিন বাটা কোম্পানির নেতৃত্ব নেন। জ্যান বাটা তার ব্যবসার আকার বিশ্বজুড়ে বৃদ্ধি করেন এবং ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, এশিয়া, এবং আফ্রিকা মহাদেশে বাটার জুতা জনপ্রিয় হয়। জুতা উৎপাদন ছাড়াও বাটা টায়ার, খেলনা, ও প্লাস্টিকের তন্তুও উৎপাদন শুরু করে। ১৯৩০ এর দশকে বাটা কোম্পানির মোট কর্মীর সংখ্যা বেড়ে হয় ১০৫,৭৭০ জন। ১৯৪০ এর দশকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে বাটা কো...

ব্ল্যাক হোল কি? ব্ল্যাক হোল সম্পর্কে অজানা তথ্য।

Image
ব্ল্যাক হোল হলো এমন একটি আকাশগঙ্গা বা মহাকাশের অঞ্চল, যেখানে গুরুত্বাকর্ষণ এতই শক্তিশালী যে কোনো কিছুই তার থেকে পালাতে পারে না, না আলো, না কোনো ধ্বনি, না কোনো বস্তু।  ব্ল্যাক হোল তৈরি হয় যখন একটি বৃহৎ তারা বা সূর্য তার জীবনের শেষে বিস্ফোরণ হয় এবং তার বাহিরের অংশ ছড়িয়ে পড়ে। এই প্রক্রিয়াকে সুপারনোভা বলা হয়। এর পর তারা বা সূর্যের কেন্দ্রীয় অংশ ধীরে ধীরে সঙ্কুচিত হয় এবং একটি বিন্দুতে সমাহিত হয়। এই বিন্দুটিকে সিঙ্গুলারিটি বলা হয়। এই সিঙ্গুলারিটির চারপাশে একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে একটি চক্রাকার সীমারেখা আছে, যেখানে গুরুত্বাকর্ষণ এতই শক্তিশালী যে কোনো কিছুই তার থেকে পালাতে পারে না। এই সীমারেখাকে ইভেন্ট হরাইজন বলা হয়। ইভেন্ট হরাইজনের বাইরে থেকে যে কোনো কিছু যদি ব্ল্যাক হোলের দিকে আকর্ষিত হয়, তাহলে তা কখনও ফিরে আসতে পারে না। এই কারণে ব্ল্যাক হোল কোনো আলো বা ধ্বনি ছাড়ে না, এবং তাই তা দেখা যায় না। ব্ল্যাক হোলের বিভিন্ন ধরন আছে। যেমন, স্টেলার ব্ল্যাক হোল, সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল, মিনি ব্ল্যাক হোল, রোটেটিং ব্ল্যাক হোল, চার্জড ব্ল্যাক হোল ইত্যাদি। এগুলোর মধ্যে স্টেলার ব্ল্যাক হোল সবচেয়ে সাধারণ...